পবিত্র কুরআনের একটি সৌন্দর্য হলো যে এর কিছু আয়াত (আয়াত) একই সাথে একাধিক বৈজ্ঞানিক বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করে। এই নিবন্ধটি এমন একটি আয়াত বিশ্লেষণ করবে, যা দুটি ভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয়ের দিকে নির্দেশ করে। পদার্থবিজ্ঞান এবং মহাজাগতিক বিজ্ঞান অনুসারে, মহাবিশ্বের কাঠামো একক নয়, এবং বিজ্ঞানীরা এমন মডেল প্রস্তাব করেছেন যা ইঙ্গিত দেয় যে মহাকাশের একটি জালিকা বা মাকড়সার জালের মতো গঠন রয়েছে, যা গ্যালাক্সি ফিলামেন্ট বা মহাজাগতিক তন্তু নামে পরিচিত। এই তন্তুগুলি গ্যালাক্সির সুপারক্লাস্টারগুলিকে সংযুক্ত করে, যা মহাবিশ্বের বৃহত্তম কাঠামো। প্রতিটি সুপারক্লাস্টারে ছোট গ্যালাক্সি গ্রুপ এবং লক্ষ লক্ষ অন্যান্য গ্যালাক্সি রয়েছে।
অন্যদিকে, মহাবিশ্বে ছোট ছোট পথও রয়েছে, যা লাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট নামে পরিচিত, এবং এগুলির একটি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে: এই পয়েন্টগুলিতে মাধ্যাকর্ষণ এবং ঘর্ষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কম। তাই, যদি ভবিষ্যতে মানবজাতি মহাকাশ ভ্রমণের প্রযুক্তি উন্নত করে, তবে তারা এই সুপারক্লাস্টারগুলির মধ্য দিয়ে কম শক্তি ব্যবহার করে চলাচল করতে পারে। লাগ্রাঞ্জ পয়েন্টের অস্তিত্বের কারণ হলো উচ্চ মাধ্যাকর্ষণ সহ একাধিক বস্তুর উপস্থিতি, যা একে অপরের মাধ্যাকর্ষণকে নিরপেক্ষ করে।
বিজ্ঞানীরা দাবি করেন যে মিল্কিওয়েতে অনেকগুলি লাগ্রাঞ্জ পথ রয়েছে, এবং যদি সঠিক হিসাব করা সম্ভব হয়, তবে খুব কম শক্তি ব্যবহার করে সৌরজগতে চলাচল করা সম্ভব হবে। উদাহরণস্বরূপ, এই লাগ্রাঞ্জ পথগুলির কিছু মঙ্গল এবং শনির মধ্যে অবস্থিত, এবং অন্যগুলি সৌরজগতের চাঁদগুলির মাধ্যাকর্ষণের কারণে উৎপন্ন হয়, যা পৃথিবীর সাথেও সংযুক্ত। বলা হয় যে এই পথগুলির একটি অদৃশ্য ফাঁপা নলের মতো গঠন রয়েছে, এগুলি দৃশ্যমান নয়, এবং যে বস্তু এতে প্রবেশ করে, তা তার লক্ষ্যের দিকে জিগজ্যাগ গতিতে চলতে শুরু করে।

পৃথিবীর চারপাশে সৌরজগতে লাগ্রাঞ্জ পথগুলির মানচিত্র।
সূরা আধ-ধারিয়াত, আয়াত ৭-এ বলা হয়েছে: „আমি শপথ করি পথে পূর্ণ আকাশের“ (অনুবাদ নেওয়া হয়েছে https://surahquran.com/ থেকে)। এই আয়াতটি পাঠ্যে উল্লিখিত উভয় বৈজ্ঞানিক বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করে।
সূরা লুকমান, আয়াত ১০-এ বলা হয়েছে: „তিনি আকাশ সৃষ্টি করেছেন কোনো স্তম্ভ ছাড়া যা তোমরা দেখতে পাও, এবং তিনি পৃথিবীতে অটল পর্বত স্থাপন করেছেন যাতে তা তোমাদেরকে কাঁপায় না, এবং তিনি তাতে সব ধরনের প্রাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন। এবং আমরা আকাশ থেকে পানি নামিয়েছি এবং তাতে সব ধরনের মহৎ জোড়া উৎপন্ন করেছি।“ (অনুবাদ নেওয়া হয়েছে https://surahquran.com/ থেকে)। এই আয়াতটি দ্বিতীয় বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে, অর্থাৎ অদৃশ্য স্তম্ভগুলির, যা পাঠ্যে এবং তৃতীয় লিঙ্কে উল্লিখিত অদৃশ্য ফাঁপা নলের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এই দুটি আয়াত, যদি অন্য কোনো গ্রন্থে থাকত, তবে তার সত্যতা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট হতো।

মন্তব্য করুন